আদিকাল থেকেই মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিয়ে এসেছে। তবে আল্লাহ বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন—তিনি পশুর রক্ত বা গোশত চান না, চান হৃদয়ের তাকওয়া বা আনুগত্য। এই কারণে তিনি তাঁর পুত্র ঈসা মসীহকে পাঠিয়েছেন, যিনি সকলের জন্য চূড়ান্ত কোরবানি হয়েছেন। এখন আর বাহ্যিক পশু কোরবানির প্রয়োজন নেই। আল্লাহ চান না যে আমরা আমাদের দেহকে আক্ষরিকভাবে কোরবানি দেই, বরং তিনি চান যেন আমরা জীবিত অবস্থায় নিজেদের জীবনকে তার কাছে উৎসর্গ করি। এর অর্থ হলো, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন হোক পবিত্র, তাঁর পবিত্র কালামের বাধ্য, গুনাহ মুক্ত এবং ঈমানদার, দয়ালু ও সত্যভিত্তিক জীবন যাপন। আমরা যেন স্বেচ্ছায় ও আন্তরিকভাবে তাঁর ইবাদত করি, তাঁর ইচ্ছা পূরণে আত্মনিবেদন করি—এটাই জীবিত কোরবানির প্রকৃত অর্থ এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য এবাদত।
‘আল্লাহর কাছে তোমাদের কোরবানির গোশত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে।’ (সূরা হজ্জ্ব 22 আয়াত ৩৭)
'কারণ আল্লাহ্ দুনিয়াকে এমন মহব্বত করলেন যে, তাঁর এক জাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে ঈমান আনে সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।'- ইউহোন্না 3:16
'মাবুদ বলছেন, তোমাদের অনেক কোরবানীর আমার প্রয়োজন কি? ভেড়ার পোড়ানো-কোরবানীতে ও পুষ্ট পশুর মেদে আমার আর রুচি নেই; ষাঁড়ের বা ভেড়ার, বা ছাগলের রক্তে আমি কোন আনন্দ পাই না। তোমরা যে আমার সাক্ষাতে উপস্থিত হয়ে আমার সমস্ত প্রাঙ্গণ পদতলে দলিত কর, তা তোমাদের কাছে কে চেয়েছে? অসার নৈবেদ্য আর এনো না; ধূপ জ্বালানো আমার কাছে ঘৃণা লাগে; অমাবস্যা, বিশ্রামবার, মাহ্ফিলের আহ্বান— আমি অধর্মযুক্ত ঈদের সভাগুলো সইতে পারি না।- ইশাইয়া 1:11-13
'অতএব হে ভাইয়েরা, আল্লাহ্র অসীম করুণার অনুরোধে আমি তোমাদেরকে ফরিয়াদ করছি, তোমরা নিজ নিজ দেহকে জীবিত, পবিত্র ও আল্লাহ্র প্রীতিজনক কোরবানী হিসেবে কোরবানী কর, এ-ই তোমাদের রূহানিক এবাদত। ' রোমীয় 12:1